ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী: সাফল্যের অনন্য কাহিনী

ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মাইক্রোক্রেডিট ও মাইক্রোফাইন্যান্স ধারণার প্রবর্তক।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ২০০৬ সালে তিনি ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন। 

ড. ইউনূসের কাজের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে মাইক্রোক্রেডিট ও মাইক্রোফাইন্যান্স একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী: সাফল্যের অনন্য কাহিনী

প্রারম্ভিক জীবন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর প্রারম্ভিক জীবন ছিল অনুপ্রেরণামূলক। তার শৈশব ও পরিবার, শিক্ষা এবং প্রাথমিক অর্জন তাকে গড়ে তুলেছে। এই অংশে আমরা তার জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।

শৈশব ও পরিবার

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন সফল সোনার কারিগর। তার মা ছিলেন সমাজসেবিকা। তিনি সাত ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। তার পরিবার ছিল শিক্ষানুরাগী ও উদার।

শিক্ষা ও প্রাথমিক অর্জন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামের লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।

১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার শিক্ষা জীবনে তিনি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৬৯ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার শিক্ষার প্রতি আগ্রহ এবং অধ্যবসায় তাকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়েছে।

শিক্ষাজীবন ও প্রাথমিক কর্মজীবন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনীতে শিক্ষাজীবন ও প্রাথমিক কর্মজীবন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর জীবনের এই পর্বটি তাঁর ভবিষ্যত কর্মকাণ্ডের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। শিক্ষাজীবনে তিনি যে পরিশ্রম করেছেন, তা তাঁর কর্মজীবনকে আলোকিত করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শিক্ষাজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর তিনি ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেন। তাঁর মেধা ও কঠোর পরিশ্রম তাঁকে সবার প্রিয় করে তোলে।

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে তিনি ভর্তি হন ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে তিনি অর্থনীতিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণা তাঁকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি এনে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি বছর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএসসি (অর্থনীতি) ১৯৬০
ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ১৯৬৫
ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি

১৯৬৯


ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপেই ছিলেন সফল। তাঁর শিক্ষা ও গবেষণার অভিজ্ঞতা তাঁকে প্রাথমিক কর্মজীবনে সহায়তা করেছে

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবন অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা তাঁর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি শুধু একটি ব্যাংক নয়, দারিদ্র্য দূরীকরণের একটি মডেল।

প্রথম উদ্যোগ

ড. ইউনূসের প্রথম উদ্যোগ ছিল ছোট ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করা। তিনি প্রথমে নিজেই কিছু অর্থ ঋণ দেন গ্রামের নারীদের। এর মাধ্যমে তিনি দেখতে পান যে, ছোট ঋণও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পথে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমে বড় ব্যাংকগুলো এই ধারণাকে সমর্থন করেনি। তাঁরা বিশ্বাস করতেন না যে, দরিদ্র মানুষ ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।

ড. ইউনূস এই চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রমাণ করেন যে, দরিদ্র মানুষও ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম।

চ্যালেঞ্জ সমাধান
বড় ব্যাংকের সমর্থনের অভাব নিজস্ব উদ্যোগে ঋণ প্রদান শুরু
দারিদ্র্য দূরীকরণের বিশ্বাস ছোট ঋণের মাধ্যমে প্রমাণ

ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তাঁর এই উদ্যোগ দারিদ্র্য দূরীকরণের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ক্ষুদ্রঋণ ধারণা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি অনন্য ধারণা নিয়ে এসেছিলেন, যা হলো ক্ষুদ্রঋণ। এই ধারণা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ মূলত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে তারা ছোট ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে এবং নিজেদের উন্নতি করতে পারে।

ক্ষুদ্রঋণের মূলনীতি

ক্ষুদ্রঋণের মূলনীতি খুবই সহজ এবং কার্যকর। এটি সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষদের লক্ষ্য করে। ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার জন্য কোন জামানত প্রয়োজন হয় না।

  • নিম্ন আয়ের মানুষদের ঋণ প্রদান
  • কোন জামানতের প্রয়োজন নেই
  • সল্প সুদের হার
  • ঋণ গ্রহণকারীদের শিক্ষিত করা

সফলতা ও প্রসার

ক্ষুদ্রঋণ ধারণা ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এর মাধ্যমে ড. ইউনূস লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করেছেন।

বছর ঋণগ্রহণকারীর সংখ্যা ঋণের পরিমাণ (মিলিয়ন টাকায়)
১৯৮৩ ৫০০০০ ১০০
১৯৯০ ৫০০০০০ ৫০০
২০০০ ৫০০০০০০ ১০০০

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ ধারণা আজ বিশ্বব্যাপী প্রচলিত। এটি অনেক দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন পরিবর্তন করেছে।

বৈশ্বিক স্বীকৃতি

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর বৈশ্বিক স্বীকৃতি তাঁকে একটি বিশেষ স্থানে বসিয়েছে। তাঁর উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশংসিত হয়েছে।

নোবেল পুরস্কার

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি এই পুরস্কার পান ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের জন্য। গ্রামীণ ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি এই সম্মান লাভ করেন। তাঁর ক্ষুদ্রঋণ মডেল দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নোবেল কমিটি তাঁর এই উদ্যোগকে দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনন্য উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্মাননা

ড. ইউনূস বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

  1. প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম (২০০৯)
  2. কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল (২০১০)
  3. বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (১৯৯৪)
  4. নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০৬)
  5. প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম (২০০৯)
  6. কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল (২০১০)
  7. বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (১৯৯৪)
  8. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  9. ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
  10. নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  11. ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
  12. বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  13. রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  14. সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  15. ১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
  16. মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
  17. জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  18. প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  19. আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
  20. কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
  21. চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  22. প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  23. মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  24. বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
  25. মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  26. শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
  27. এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  28. করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  29. টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
  30. বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  31. ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  32. এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
  33. এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  34. গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
  35. গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  36. প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  37. পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
  38. বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
  39. সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)
  40. ড. ইউনূস এর কাজ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছে। তাঁর উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন। বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থা তাঁকে সম্মানিত করেছে।

নিচে একটি তথ্যসূত্রের টেবিল দেওয়া হলো:

বছর পুরস্কার
২০০৬ নোবেল শান্তি পুরস্কার
২০০৯ প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম
২০১০ কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল
১৯৯৪ বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার

সমাজসেবা ও অন্যান্য উদ্যোগ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সমাজসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিখ্যাত। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তার অনেক উদ্যোগ সমাজে প্রভাব ফেলেছে।

সামাজিক ব্যবসা

সামাজিক ব্যবসা একটি বিপ্লবী ধারণা। ড. ইউনূস এই ধারণা প্রচলন করেন। এই ব্যবসার মূল লক্ষ্য লাভ নয়। বরং মানুষের কল্যাণ।

সামাজিক ব্যবসার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

  • গ্রামীণ ড্যানোন
  • গ্রামীণ-ক্যাল
  • গ্রামীণ-ভেওলিয়া

এই ব্যবসাগুলি সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছে। যেমন দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা।

উন্নয়ন প্রকল্প

ড. ইউনূসের আরও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প আছে। এই প্রকল্পগুলি গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নত করেছে।

উদাহরণ হিসেবে:

  • গ্রামীণ শক্তি
  • গ্রামীণ টেলিকম
  • গ্রামীণ শিক্ষা

এই প্রকল্পগুলি বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও শিক্ষায় পরিবর্তন এনেছে। গ্রামের মানুষ এখন আরও আত্মনির্ভর।

ব্যক্তিগত জীবন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনুপ্রেরণাদায়ক।

পরিবার ও বন্ধুত্ব

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিবার ছিল অনেক বড়। তার বাবা ছিলেন একজন সফল স্বর্ণকার। তার মায়ের নাম সাফিয়া খাতুন। তার চার ভাই এবং দুই বোন। তারা সবাই একসঙ্গে বড় হয়েছেন।

তার স্ত্রী বেগম আফরোজ বেগম একজন শিক্ষিকা। তাদের এক মেয়ে, মোনেজা ইউনূস। মোনেজা ইউনূস লেখালেখি ও গবেষণায় আগ্রহী।

ড. ইউনূসের বন্ধুর সংখ্যা অনেক। তাদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল গভীর। তার জীবনযাত্রায় বন্ধুরা ছিল সহায়ক।

পছন্দ ও শখ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পছন্দের বিষয়গুলো অনেক বৈচিত্র্যময়। তিনি বই পড়তে খুব পছন্দ করতেন। তার প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

তিনি ভ্রমণ করতে ভালোবাসতেন। নতুন নতুন জায়গা আবিষ্কার করতে তার ভালো লাগত।

শিক্ষা ও গবেষণা ছিল তার বড় শখ। তিনি ছাত্র জীবনে বিভিন্ন গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।

পছন্দ শখ
বই পড়া গবেষণা
ভ্রমণ নতুন জায়গা আবিষ্কার

প্রভাব ও উত্তরাধিকার

ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিখ্যাত বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ। তার উদ্ভাবনী ক্ষুদ্রঋণ ধারণা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। তার কাজের প্রভাব ও উত্তরাধিকার গভীর এবং বিস্তৃত।

বাংলাদেশে প্রভাব

ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদান রেখেছে। তার উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছে।

ক্ষেত্র প্রভাব
অর্থনীতি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রসার
সমাজ নারীর ক্ষমতায়ন
শিক্ষা শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি

বিশ্বব্যাপী উত্তরাধিকার

ড. ইউনূসের কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তার ক্ষুদ্রঋণ ধারণা অনেক দেশে অনুকরণ করা হয়েছে।

  • ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রসার
  • দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
  • সামাজিক ব্যবসার ধারণা

তার কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এটি বাংলাদেশের গর্ব।

Frequently Asked Questions

ডক্টর ইউনুস কেন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?

ড. ইউনুস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মাইক্রোক্রেডিট সিস্টেমের মাধ্যমে দরিদ্রদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।

ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর বাড়ি কোথায়?

ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায়। তিনি সেখানে জন্মগ্রহণ করেন।

ইউনূস কেন নোবেল পুরস্কার পান?

ইউনূস নোবেল পুরস্কার পান গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাইক্রোক্রেডিট ধারণার প্রচলন করার জন্য। এটি দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক।

মুহাম্মদ ইউনূস কিভাবে বিশ্বকে বদলে দিয়েছিলেন?

মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তন করে তিনি দরিদ্রদের আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করেছিলেন। তার উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলেছে।

উপসংহার

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবন আমাদের জন্য একটি প্রেরণা। তার সংগ্রাম ও সাফল্য অসাধারণ। তিনি বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রতীক। তার উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী চিন্তা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। ড. ইউনূসের জীবন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। তার উদাহরণ অনুসরণ করে সমাজকে উন্নত করতে পারি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url